মানসিক ভাবে শক্তিশালী হওয়ার ৪টি উপায়।

How to way Mentality Strong
মানসিক ভাবে শক্তিশালী হওয়ার ৪টি উপায়।

আমাদের প্রতিদিনের অভ্যাস সে আমাদের জীবনকে তৈরি করে। আমরা রোজ কি করি, কাদের সঙ্গে থাকি, এই সবকিছু আমাদের জীবনে প্রভাব ফেলে। কিছু কথা আমাদের জীবনে থাকে যা আমাদের ভেতর থেকে দুর্বল করে রাখে। যার কারণে আমরা কারো সাথে মন খুলে কথা বলতে পারিনা। কিছু স্মৃতি এমন থাকে যা আমরা কখনো ভুলতে পারিনা। অনেক চেষ্টা করে আমরা নিজেকে পরিবর্তন করার কিন্তু সেটা হয় না যা আমরা চাই। আজ আমি আপনাদের এমন কিছু কথা বলব যা আপনাকে ভিতর থেকে অনেক মজবুত তৈরী করবে। যা আপনার ভিতরে একটি পজিটিভ এনার্জি তৈরি করবে। যা আপনাকে বলবে যে তুমি যা করতে চাও তাই করো। আমি আছি তোমার সাথে। আর যখন কেউ আমাদের বলে যে আমি আছি তোমার সাথে, এটি শোনার পর আমাদের ভিতরে যে ক্ষমতা আছে সেটি সবার থেকে আলাদা হয়। আজকের এই আলোচনাটি আপনার চিন্তাকে সম্পূর্ণ বদলে দেবে। এটা আপনাকে মানসিকভাবে অনেক শক্তিশালী করে তুলবে।

তো চলুন শুরু করা যাক

১। নিজেকে প্রমাণ করা বন্ধ করুন
কারো সামনে নিজের ভাল গুন তুলে ধরা বন্ধ করুন। যে আমি এমন আমি অমন। লোক সবসময় তাদের মতো করেই ভাববে। আপনি যতই চেষ্টা করেন তাদের কাছে ভালো হবার তারা কেবল সেটাই আপনার মধ্যে দেখবে, যা তারা দেখতে চাই। আর যে আপনাকে ভালোবাসবে আপনার মধ্যে হাজার খারাপ কিছু থাকলে সে আপনাকে ভালোবাসবে। আর যে আপনাকে ভালোবাসবে না আপনার মধ্যে হাজার ভালো গুন থাকলেও সে আপনাকে ভালোবাসবে না।
আপনি যদি জোর করে কাউকে ইমপ্রেস করতে যান এটি দেখায় আপনি ফালতু লোকের উপর ইন্টারেস্ট নিচ্ছেন। আর অন্যদিকে নিজেকে এমন ভাবে তৈরি করুন যে আপনি কারো দিকে তাকানোর আগেই সে আপনার প্রতি ইন্টারেস্ট নেবে।

২। জীবনে মুভঅন করুন।
এটা জীবনের সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। নিজের জীবনে একটি বড় সফলতা অর্জন করার জন্য জীবনের সবকিছু থেকে বেরিয়ে এগিয়ে যাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ব্রেইনে একটি কথা ভালোভাবে গেথে নিন যে, এই পৃথিবীর আরেকটি নামই হলো পরিবর্তন। আপনি যদি কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে পড়েন তাহলে সেখানে আপনি বরবাদ হতে শুরু করবেন। আপনার সাথে অনেকবার ভুল হয়েছে, আপনি কারো মনে কোন কষ্ট দিয়েছেন, বা কেউ আপনার মনে কষ্ট দিয়েছে, তাহলে ক্ষমা চেয়ে বা ক্ষমা করে দিয়ে জীবনে এগিয়ে চলুন। আপনার প্রতিটি ভুল থেকে কিছু শিখুন আর এগিয়ে চলুন। আপনার মূভঅন করা আপনাকে ও আপনার আপনজনকে একটি নতুন চেহারা দেখায় আপনার। চলে যাওয়া দিন, পুরনো স্মৃতি, ভুল করে হয়ে যাওয়া কিছু ভুল, আর কারো সাথ ছেড়ে চলে যাওয়া এগুলো আমাদের সামনে বারবার আসে আমাদেরকে আটকানোর জন্য। কিন্তু আমাদের এই সবকিছুকে এড়িয়ে চলে এগিয়ে যেতে হবে। আর সেই সব কিছুতে মনোযোগ দিতে হবে যা আমাদেরকে খুশি দেবে। তাহলে আপনি জীবনে শান্তি অনুভব করবেন।

৩। নিজেকে এমন ব্যাক্তি তৈরি করুন যে অন্যের সফলতা ইনজয় করবে।
যদি আপনি অন্যের সাকসেস পার্টিতে নিজেকে নিয়ে যান তাহলে আপনি সেই জায়গায় থাকবে। যেখানে আপনার চারপাশে কেবল সাকসেসফুল্ল কাটবে। আর সফল লোকের মাঝে থাকলে আপনি অটোমেটিক সেই সমস্ত কিছু করার সাহস পাবেন যা আপনি করতে ভয় পান। আর যদি আপনি এমন লোকের সাথে থাকেন যারা জীবনে বড় কোনো কিছু অর্জন করে নি, তাহলে বুঝতে পারবেন এই দুই ধরণের লোকের চিন্তার মধ্যে অনেক বেশি পার্থক্য আছে। কিছু লোক অনেক অজুহাত দেয়, যে আমার কাছে এটা নেই, আমার কাছে ওটা নেই, আর কিছু লোক তাদের কাছে যা আছে তাই দিয়ে কাজ শুরু করে। আর আপনিও জানেন এদের মধ্যে কে সাকসেস হবে। তাই নিজেকে সবসময় সাকসেসফুল লোকের মাঝে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্।

৪। নিজেকে কখনো অন্য কারো সাথে তুলনা করবেন না।
আমরা আমাদের বর্তমানকে অন্য কারণ বর্তমানের সঙ্গে তুলনা করি। আমাদের এটাই হলো সবথেকে বড় প্রবলেম। অন্যের মত করে নিজেকে দেখার চেষ্টা করি। কিন্তু সত্যিটা হলো এই পৃথিবীতে আপনি কারোর মতো নয়, আর কেউ আপনার মতও নয়। এটাই তো আপনার সব থেকে বড় পাওয়া। আপনি সেটা চান যা সামনের জনের কাছে আছে। আর কে জানে সামনের জনও আপনার মত জীবনের স্বপ্ন দেখলে। আপনার খুশির কারণ নিজেকে তৈরী করুন। নিজের মধ্যেই সমস্ত খুশিকে খুঁজে পাবেন।

ধন্যবাদ