বয়সভেদে শিশুর স্বাভাবিক উচ্চতা ও ওজন

Childs age with weight and heightশিশুর ওজন এবং উচ্চতার তারতম্য হতে পারে অনেক কিছুর উপর ভিত্তি করেই, তবে প্রত্যেক বাবা-মায়ের জেনে রাখা উচিৎ, শিশুর যে স্বাভাবিক ওজন ও উচ্চতার বয়সভেদে একটি বিশেষ পরিমাপক রয়েছে। আপনার শিশু ঠিকমতো বেড়ে উঠছে কিনা এ থেকেই বুঝবেন। তাকে নিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন কিনা?

শিশুর জন্মের ১ম বছর
শিশুর জন্মের পর পারই প্রথম কয়েকদিনে তার ওজন প্রায় ১৫ শতাংশ কমে যায়, এটি স্বাভাবিক। এর পরেই পুনরায় ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে শিশুর ওজন আবার আগের মতো হয়ে যায়, এবং তারপর থেকে তিন মাস পর্যন্ত গড়ে প্রায় প্রতিদিন ২৫ গ্রাম করে ওজন বাড়তে থাকে। এছাড়াও প্রথম বছরকে চার মাসের তিনটি অধ্যায়ে ভাগ করে বৈজ্ঞানিকভাবে শিশুর ওজন বাড়ার একটি সূত্র রয়েছে।
সূত্রটি নিম্নে দেওয়া হলো-
শিশু জন্মের পর ১ম ৪ মাস পর্যন্ত – জন্ম ওজন + (বয়স মাসের সংখ্যা x ০.৮)
শিশু জন্মের ২য় ৪ মাস পর্যন্ত – জন্ম ওজন + (বয়স মাসের সংখ্যা x ০.৭)
শিশু জন্মের ৩য় ৪ মাস পর্যন্ত – জন্ম ওজন + (বয়স মাসের সংখ্যা x ০.৬)
সর্বোপরি শিশুর জন্মের প্রথম ৫ মাস বয়সে জন্ম ওজনের দ্বিগুন হয় এবং পরবর্তী এক বছর বয়সে জন্ম ওজনের ৩ গুন ওজন স্বাভাবিকভাবে গ্রহন করবে।
এরপর থেকে শিশুর খাবার ও জীনগত বৈশিষ্ট্য অনুপাতে শিশুর উচ্চতা ও ওজনের তারতম্য লক্ষ্য করা যায়।
শিশুর উচ্চতা:
শিশু জন্মকালীন সময়ে পঞ্চাশ সে.মি. বা বিশ ইঞ্চি পর্যন্ত উচ্চতা হতে পারে। প্রথম ছয় মাসের মধ্যে স্বাভাবিক অনুপাতে এই উচ্চতা ৬৮ (আটষট্টি) সে.মি. বা ২৭ (সাতাশ) ইঞ্চি পর্যন্ত উচ্চতা হতে পারে।
এরপর শিশুর বছরভেদে এই উচ্চতার স্বাভাবিক মাত্রা হলো-
শিশু জন্মের পর ১ম ১ বছর বয়স- ৭৫ সে.মি বা ৩০ ইঞ্চি।
শিশু জন্মের পর ১ম ২ বছর বয়স- ৮৫ সে.মি. বা ৩৪ ইঞ্চি।
শিশু জন্মের পর ১ম ৩ বছর বয়স- ৯৫ সে.মি. বা ৩৭ ইঞ্চি।
শিশু জন্মের পর ১ম ৪ বছর বয়স- ১০০ সে.মি. বা ৩৯ ইঞ্চি।
এরপর প্রথম আট বছর পর্যন্ত শিশুর উচ্চতা সাধারণত গড়ে ৫.৫ সে.মি. বা ২ ইঞ্চি করে বৃদ্ধি পায়। শিশুর ওজনের মতো উচ্চতার ক্ষেত্রেও পুষ্টি, খাবার, জিনগত বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি পরিমাপক হিসাবে কাজ করতে পারে।