স্বামী-স্ত্রীর মাঝে সংসার জীবনে কখনো কখনো সম্পর্কের অবনতি হওয়া একটা স্বাভাবিক ব্যাপার । কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিবাহবিচ্ছেদ পর্যন্তও গড়ায় এই অবনতি । স্বামী/স্ত্রী বিভিন্ন কারণেই বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করে থাকেন।
তবে এবার এক বিচিত্র কারনে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করতে আসেছেন এক ব্যক্তি। জানা গেল খাদ্য তালিকায় লড্ডু ছাড়া অন্য কোনো খাবার খেতে না দেওয়ার কারনে বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য ভারতের উত্তর প্রদেশের মিরাটে পারিবারিক আদালতে আবেদন করেছেন এক ব্যক্তি।
ঐ প্রতিবেদনে বলা হয় যে, ভারতের উত্তর প্রদেশের মিরাটে স্বামী অসুস্থ থাকায় তার স্ত্রী খুব চিন্তিত হয়ে সেখানে এক তান্ত্রিকের কাছে যান। তান্ত্রিক ঐ মহিলাকে পরামর্শ দেন লাড্ডু তার স্বামীকে ছাড়া আর অন্য কোনো খাবার না খাওয়ার জন্য। এরপর থেকে ঐ স্ত্রী তার স্বামীকে আর কোনো খাবার খেতে না দেওয়ার কারনে তার স্ত্রীর উপর রাগ হয়ে ভারতের উত্তর প্রদেশের মিরাটে পারিবারিক আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদ করার জন্য মামলা করেন সেই স্বামী।
তাদের সংসার জীবনে তিন সন্তানের এই সুখী দম্পতির বিবাহের প্রথম কয়েক বছর বেশ ভালোই কেটে গেল। তাদের মধ্যে সমস্যা তৈরি হয় গত বছর। তার স্ত্রীর দাবি তার স্বামী বারবার অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তাই তিনি স্বামীর অসুস্থতা নিয়ে খুবই চিন্তিত হয়ে সেখানে এক তান্ত্রিকের শরণাপন্ন হন। সেই তান্ত্রিকের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি তার স্বামীকে শুধু লাড্ডুই খেতে দেন। এই ছাড়া আর অন্য কোনও খাবার তিনি তার স্বামীকে খেতে দেন না।
আর স্বামীর দাবি এই যে, দিন-রাত তার স্ত্রী তাকে শুধু লাড্ডুই খেতে দেন। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা সর্বমোট ৮ টি লাড্ডু খেয়েই দিন কাটছে তার। তিনি আরো জানান তার লাড্ডু খেতে খেতে এক পর্যায়ে বিরক্ত হয়ে অন্য কোনো খাবার খেতে চাইলেও সেই তান্ত্রিকের কথা অমান্য করার সাহস নাকি তার স্ত্রীর নেই।
এদিকে স্বামীর অবস্থা যায় যায় ক্ষুধার জ্বালায়। স্বামী অতিষ্ঠ হয়ে বেশিরভাগ দিনই বাড়ির বাইরে গিয়ে নিজের ইচ্ছামতো খাবার খেতো। কিন্তু এভাবে যতদিন যাচ্ছে স্ত্রী সেই তান্ত্রিকের ওপর ততই নির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছেন। তাই স্বামীএক পর্যায়ে বাধ্য হয়েই বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
তবে স্ত্রী আদালতকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, প্রয়োজনে তার স্বামীকে ছেড়ে দিবেন কিন্তু তান্ত্রিকের কথা অমান্য করবেন না। এখন দেখার বিষয় আদালত কি সিদ্ধান্ত দেবেন সেটাই ।
সূত্র ইন্ডিয়া টুডে
