ডিজিটাল বাংলাদেশে এখন এফ-কমার্স ও ই-কমার্সে আয়-রোজগারের বিশাল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। প্রতিনিয়তই দেশের পুরুষদের সাথে তাল মিলিয়ে নারীরাও এগিয়ে যাচ্ছে নিত্যনতুন উপায় নিয়ে, তেমনই এক ব্যবস্থা ফেসবুক লাইভ। ঘরে বসেই ক্রেতারা পাচ্ছেন দোকানে গিয়ে সকল ধরণের পণ্য দেখেশুনে কেনার ব্যতিক্রমী এক উপায়। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অংশ হিসেবে এমন নানান ধরণের উদ্যোগে নিচ্ছেন উদ্যোক্তারা। আমাদের সাথে তেমনই একজ উদ্যোক্তার সঙ্গে কথা বলেছেন — ইফফাত-ই-ফারিয়া।
নারী উদ্যোক্তা শাহরুখ চৌধুরী লিনা বলেন, আমি ২০০৯ সালে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ-এমবিএ শেষ করেছি। এরপর প্রেসক্রিপশন পয়েন্টে চাকরি শুরু করি। প্রায় তিন বছর টেলিকম কোম্পানি এয়ারটেলে ছিলাম, এরপর আসি ইউসিবিএল রিটেইল ব্যাংকিংয়ে, টুকটাক অনলাইন বিজনেসও করতাম চাকরির করার পাশাপাশি। তারপর ২০১৪ সালে হয় আমার বিয়ে, বিয়ের পরই সন্তানসম্ভবা হই, চাকরি ছাড়ি নিজের জন্য সময় বের করার জন্য। অনলাইন বিজনেস তারপরেও চালিয়ে যাচ্ছিলাম। বিখ্যাত ব্যক্তি দের সঙ্গে নিজের নামের মিল দেখে অনেকেই অবাক হতাম! ভাবতাম মেয়েদের নাম আবার “শাহরুখ” হয় নাকি? নিজের মতো করে কিছু একটা করার খুবই ইচ্ছা ছিল, যাতে করে নিজের কাজ দিয়ে চিনবে সবাই আমাকে।
তারপর ২০১৭ সালে একটি শো-রুম চালু করি ‘লিনা’স থাউজ্যান্ড থিংগস’ নামে। ১১ মাসের মধ্যে তিনটি শো-রুম চালুকরি প্রথমে ধানমন্ডি অর্চার্ড পয়েন্টে, তারপরে গুলশান পুলিশ প্লাজায়, সবশেষে পিংক সিটিতে, ইচ্ছে আছে শো-রুমের সংখ্যা আরো বাড়াতে। বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠে আমার সব কালেকশন, তবে এখন বেশি বিক্রি হয় অনলাইনে লাইভ থেকে তুলনামূলক দোকানে বিক্রি কম হয়। পরিবারের যে অভাবনীয় সহায়তা পেয়েছি আমার প্রতিটি কাজে, যা আমাকে আরো অনেক দূরি এগিয়ে যেতে আগ্রহ দেয়। আমি সাহস পেতাম না নিজের ক্রিয়েটিভিটি কাজে লাগিয়ে ডিজাইন করতে। নিজের কোনো পড়াশোনা ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে না থাকার কারনে বিদেশি পোশাক বিক্রি করলেও এখন বাজারজাত করতে চাচ্ছি দেশি ডিজাইনারদের দ্বারা দেশি তৈরি পোশাক। আমি চাই আমার শো-রুম থেকে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ যেন এসে কিছু না কিছু ক্রয় করে নিয়ে যেতে পারেন, সেই লক্ষ্য নিয়েই এখন কাজ করে যাচ্ছি। –নারী উদ্যোক্তা শাহরুখ চৌধুরী লিনা