সন্তানদের সুষ্ঠ বিকাশে মায়েদের আনন্দে থাকার গুরুত্ব এবং উপায়।

payal ghosh parenting consultantখুব সুন্দর করে আনন্দময় পরিবেশে বড় করতে চাইলে সবচেয়ে আগে ধরকার মায়েদের নিজেদের খুশি থাকার। Happiness খুবই Important একটা বিষয়। যা আমাদের প্রত্যেক মায়েদের মনের মধ্যে রাখা খুব জরুরি। এখন এই Important index টা কেন প্রয়োজন? মা যদি নিজে আনন্দে থাকে নিজে খুশিতে থাকেন তার সেই যে হাসির চটা সেটা কিন্তু বাচ্চার উপর পড়বে এবং বাচ্চা যদি দেখে আমার মা হাসি খুশি তার মধ্যে আদ্ধিক চিন্তুা এখানেই উধাও হয়ে যায়। তাই বলে কি মায়েদের চিন্তা থাকবে না? নিশ্চয়ই থাকবে, কিন্তু মায়েরা তো অনেক বড় হয়ে গেছে তাই অনেক কিছুকে Combatbantalist করতে পারে। মায়েদের খুশি থাকার জন্য কি কি করতে হবে?
৩ টা সোজা জিনিস:
প্রথমতো নিজেদের প্রত্যেক দিনের রুটিন টাকে একটু চকে রেখে দিন। কিভাবে চক করবেন? এই টুকু আমার স্বামীর সময়, এই টুকু আমার পারিবারিক সময়, এইটুকু আমার বাচ্চার সময়, আর কিছুটা আমার নিজের জন্য সময় এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে সাংসারিক সময় কি হয় যে প্লানিং এর অভাবে অনেক গড়মিল হয়ে যায়। অর্থাৎ আমি আজকে কি টিপিন নেবো? কি করবো? কিভাবে আমি যাবো? বা আমি অফিসের জন্য কিভাবে পোষাক নির্বাচন করবো। এই জায়গাগুলো কিন্তু খুব এলোমেলো হয়ে যায়। অধিকাংশই টাইম ম্যানেজমেন্ট একটা সমস্যা হয়। আমরা আগের দিন রাত্রে অন্ততপক্ষে আধ ঘন্টা একটা সময় রাখবো আমাদের প্লানিংয়ের জন্য। প্রথমে আধ ঘন্টা লাগবে তারপর দেখবেন আস্তে আস্তে সময় টা কম লাগছে।
দ্বিতীয়ত হলো যে জিনিসটা খুব জরুরি সেটা হলো যখন আমি একটু অবসর সময় পাবো চেষ্টা করবো নিজেকে Maintedation যোগ ব্যায়াম এই সবের মধ্যে রাখার। এগুলা খুব নিয়ম, মানে এটা খুব ধরকারি। কারন এগুলার মধ্যে আমাদের অনেকটা Stressed হালকা হয়ে যায়।
আর তৃতীয়তো বন্ধু বান্ধব বা যারা প্রিয় তাদের সাথে সময় কাটানোর চেষ্টা করবেন। কিন্তু নিজের Stressed বের করে ফেলুন।
এই কয়টা বিষয়টি Maintain করেন। যেমন: ধরেন অফিসে যাচ্ছেন খুব তাড়া তিন্তু একটা মিউজিক চালিয়ে নিজে ড্রেস পরুন, দেখবেন এইযে মিউজিকের সাথে আপনি রেডি হচ্ছেন আপনার মনটা পজেটিভ হয়ে গেলো। বাড়ি এলে হয়তো বাচ্ছা খুব চিৎকার চেঁচামেচি করছে অনেক কমপ্লেইন পাচ্ছেন সে ক্ষেত্রে আপনি কি করবেন নিজেকে একটু খানি Parsley reboot করে নিবেন এবং ওকে আপনি জড়িয়ে ধরবেন। এই যে জড়িয়ে ধরা টা আপনি এবং আপনার সন্তানটা দুজনের মধ্যে একটা অদ্ভুত আনন্দের সাদ দুজনের মধ্যেই তৈরি হবে। দেখবেন তারপরের সমস্যা গুলা সমাধাণ করতে আর বেশিক্ষন সময় লাগছে না।
এই ছোটখাটো জিনিস গুলোর জীবনে পরিবর্তন আনুন, দেখবেন দারুন ভাবে উপভোগ করছেন জীবনটা মানুষের সাথে। পারলে সোসাইটির জন্য অন্ততপক্ষে কিছুটা কাজ করুন। দেখবেন তাতে আপনার নিজের মনে হবে আপনি নিজে সমাজের কাছে খুব মূল্যবান।

পায়েল ঘোষ
প্যারেন্টিং কনসাল্টেন্স