লক্ষ এত বড় তৈরী করুন যাতে পৃথিবী ছোট মনে হয়

Life Goad or Target Create-blog.durjoybdকথাই বলে অন্যের জীবনের ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া দরকার, কারণ যদি আপনি সবকিছু নিজেই ভুল করে শিখতে যান তাহলে আপনার বয়স কম পড়ে যাবে। আর আজকের এই আলোচনাটি অনেক স্পেশাল হবে। কারণ এই আলোচনায় আমি আপনাদের আমার নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো। আর আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি এটা আপনার সোশ্যাল পার্সোনাল প্রফেশনাল লাইফকে পরিবর্তন করতে অনেক সাহায্য করবে। তাই শেষ পর্যন্ত অবশ্যই পড়ুন।

একটি জিনিস যা আমি আমার জীবন থেকে শিখেছি, সেটা হলো সফলতা কখনো আপনি এক রাত্রে পাবেন না। হঠাৎ করে আপনি আপনার স্বপ্নকে সত্যি করতে পারবেন না। হঠাৎ করেই আপনার রিলেশন ভালো হয়ে যাবে না। হঠাৎ করেই আপনি আপনার বডি কে পরিবর্তন করতে পারবেন না। এই সব কিছু করার অন্য সময়ের প্রয়োজন। আর সময় থেকে গুরুত্বপূর্ণ আপনার কাছে একটি প্ল্যান থাকতে হবে। আপনি জীবনে কি পেতে চান? আপনার জীবনের লক্ষ্য কি? আপনি জীবনে কোথায় যেতে চান? আপনি কতদূর যেতে চান? আর সেখানে পর্যন্ত আপনি কিভাবে পৌঁছাবেন? কোন রাস্তায় আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে? আপনার কতটা সময় লাগবে? আর এর জন্য আপনাকে কতটা পরিশ্রম করতে হবে? এই সব কিছু আপনাকে জানতে হবে।

যেমন; জল সব সময় নিচের দিকে বয়ে চলে, আর ওই জলে থাকে একটি জ্যান্ত মাছ তার ইচ্ছেমত স্রোতের বিপরীতে চলে। একই ভাবে মানুষও প্রতিটি সমস্যার মোকাবেলা করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চায়। তার লক্ষ্য পূরণ করতে চাই। কিন্তু একবার ভেবে দেখুন নদীর জলে একটি মারা যাওয়া মাছ সম্পর্কে। ওই মাছটি সেই দিকেই যাবে যেদিকে জল তাকে নিয়ে যাবে। অর্থাৎ নিচের দিকে। আর সবশেষে মাছটি সেখানে পৌঁছাবে, যেখানে নদী তাকে নিয়ে যাবে। আর কেউ জানে না ওই মাছটি কখনো কিনারা পাবে কিনা? আর যদি কখনো কিনারা তে পৌঁছায় তাহলে ও কেউ জানে না ওই কিনারাটা কেমন হবে?

আমাদের জীবনটাও হল ওই নদীর মধ্যে থাকা মাছের মত। যদি আপনি না জানেন যে, আপনাকে কোথায় যেতে হবে? আপনার লক্ষ্য কি? তাহলে জীবন আপনাকে এমন ভাবে বয়ে নিয়ে যাবে যেখানে আপনি জানতেও পারবেন না যে, আপনি কোথায় পৌঁছাবেন। আর সত্যিই কোন জায়গায় পৌঁছাবেন কিনা? আর যদি কোথাও পৌঁছে যান সেখানে আপনার অবস্থাটা কেমন হবে? তাই জীবনে একটি সঠিক লক্ষ্য থাকাটা অনেক দরকার। কোন রকমের লক্ষ্য ছাড়া আমরা খুব দ্রুত আমাদের ফোকাস হারিয়ে ফেলবো।

প্রতিদিন বিজনেসম্যান এর কাছে একটি মিশন স্টেটমেন্ট থাকে। এই মিশন স্টেটমেন্ট বলে যে, ওই কোম্পানির লক্ষ্য কি? কত সময়ে কম্পানিটি সেই লক্ষ্যটা পূর্ণ করবে? একইভাবে আপনার জীবনে ও একটি মিশন স্টেটমেন্ট থাকা দরকার। আপনার টার্গেট কি? কত সময়ে সেটা পূর্ণ করা যাবে? আর কোথায় পৌঁছানোর পর সেটা পূর্ণ হবে? এই সবকিছু আপনাকে আগে থেকেই প্ল্যান করতে হবে।

মনে রাখবেন যে, সময় সবসময় চলতে থাকে। জীবনে তো সময়ের সঙ্গে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। আর এর সাথে সাথে জীবনের লক্ষ্য পরিবর্তন হতে থাকে। কিন্তু একটা কথা মনে রাখবেন, যে কেবল লক্ষ্য পরিবর্তন হওয়া আর লক্ষ্যপূর্ণ হবার পরে পরিবর্তন করার মধ্যে পার্থক্য আছে। যদি আপনি জীবনের সাথে সাথে জীবনের লক্ষ্যকে পরিবর্তন করতে থাকেন, তাহলে বুঝে নেবেন জীবন আপনাকে তার মতো করে বয়ে নিয়ে যাচ্ছে! কিন্তু যদি লক্ষ্য পূর্ণ হবার পরে আপনি আবার আপনার জন্য নতুন লক্ষ্য তৈরি করেন তাহলে আপনি আপনার জীবনকে নিজের মতো করেই চালাচ্ছেন।

আর বিশ্বাস করুন জীবনের মতো করে কেবল সেই চলে, যার জীবনের কাছে কোনো চাওয়া থাকে না। কিন্তু যে তার স্বপ্নকে পূরণ পড়তে চায় সে সব সময় স্রোতের উল্টো দিকে চলে ও পরিস্থিতি সমস্যার সঙ্গে মোকাবেলা করে এবং জীবনকে নিজের মতো করে চালায়।

তাই সবশেষে আরো একবার আপনাদের মনে করিয়ে দিই, যে জীবনে কোন না কোন টার্গেট থাকা অনেক দরকার। কোন টার্গেট ছাড়া জীবন নামের এই নদী আপনাকে গেম দিকে বয়ে নিয়ে যাবে সেটা কেউ জানেনা। তাই আজই নিজের জন্য কিছুটা সময় বার করুন। শান্তিতে বসুন, আর ভাবুন যে, আপনার জীবনের উদ্দেশ্য কি? আর সেটাকে অর্জন করার জন্য আপনি কি করতে পারবেন? একটি প্ল্যান তৈরি করুন। নিজেকে কমফোর্ট জোন থেকে বাইরে নিয়ে আসুন। আর পরিশ্রম করা শুরু করুন। একটা সময় পর আপনি আপনার লক্ষ্যে অবশ্যই পৌছাবেন।

ধন্যবাদ।