এই ৩ টি পরামর্শ মানলে পরীক্ষায় ভালো নাম্বার পেতে বাধ্য

best exam tips-blog.durjoybd.comআপনাকে যদি বলা হয় বলুন তো ভালো ছাত্র কে? আপনি হয়তো বলবেন সেই তো ভালো ছাত্র যে সবকিছু পারে, যার প্রতিটা বই সম্পর্কে অনেক ভালো ধারনা আছে, এবং যার যথেষ্ট পরিমান আউট নলেজও রয়েছে। কিন্তু আমাদের সমাজ বলছে সেই হলো ভালো ছাত্র যে নাকি পরিক্ষায় অনেক ভালো নাম্বার পায়। আরে ভাই পরিক্ষার খাতায় আপনি তখনই নাম্বার বেশি পাবেন যখন আপনি বেশি প্রশ্নের সঠিক উত্তর লিখতে পারবেন। আর এর জন্য আপনাকে আগের দশ বছরের Board Question Solve ও করতে হবে। এখন আপনি হয়তো এটাই বলবেন যে, ভাই এটা আবার কি? এটাতো আমি আগে থেকেই জানি। হ্যা আমিও জানি যে, আপনি আগে থেকেও জানেন। কিন্তু আপনি এটা জানেন না যে, কিভাবে আপনি দশ বছরের Question দ্রুত Solve করবেন এবং পরীক্ষায় অনেক ভারো রেজাল্ট করবে।

আপনি হয়তো দেখে থাকবেন যে, বিভিন্ন বোর্ডের এক্সাম বা জবের জন্য যে পরীক্ষা গুলো হয় সেই পরীক্ষাগুলো সবাই পেছনের দশ বছরের Question গুলো Solve করে। এখন আপনি নিজেই ভেবে দেখুন। ধরুন একটি বিল্ডিং দশ তলা তৈরি হচ্ছে। কিন্তু দশ তলা দোকান নিচের এক তলার উপর ডিপেন্ড করে তৈরি হবে। ঠিক সেরকই কিন্তু আগের দশ বছরের Question গুলোর উপর ডিপেন্ড করে পরবর্তী বছরের Question গুলো তৈরি করা হয়। আপনি হয়তো অলরেডি জানেন এই পৃথিবীর ৮০% লোকের কাছে যেই সম্পদ আছে বাকি ২০% লোকের কাছেও সেই সম্পদ আছে। আর এই এক্সামের ক্ষেত্রেও ঠিক একই নিয়ম। আপনার বইর ৮০% Question গুলো যতটা Important ঠিক বাকি ২০% Question গুলোই ততটা Important । আর বেশিরভাগ প্রশ্নে যেই Question গুলো এসে থাকে আর বাকি ৮০% প্রশ্ন থেকে বড় জোর একটা বা দুটা প্রশ্ন এসে থাকে। কিন্তু আমি আপনাদের এটাই বলবো যে ভালো নাম্বারের আসায় ২০% পড়বে না বাকি ৮০% এর উপর একটু হলেও ধারনা রাখবেন।

তো এখন আসা যাক কিভাবে আপনি দশ বছরের Board Question গুলো Solve করে পরীক্ষায় খুব ভালো নাম্বার পাবেন? Best Exam Tips

১। ধরুন আপনি ২০১৫ সালের একটি প্রশ্ন Solve করছেন, তাহলে আপনার প্রথম প্রশ্নের প্রথম নাম্বারটি বইয়ের যে সাপ্টারটি থেকে এসছে বইয়ের ঠিক সেই সাপ্টারটিই পড়ুন।

আবার দ্বিতীয় প্রশ্নটি বইয়ে যেই সাপ্টার থেকে এসছে সে সাপ্টারটিই পড়ুন। আর এভাবেই আপনি পড়তে থাকুন। কিন্তু একটি জিনিস মাথায় রাখবেন যেটা আমরা অনেকেই করে থাকি যেটা আমরা মনে করি আজ থেকে তিন দিন ইংলিশ পড়বো পরবর্তী তিন দিন Math পড়বো তার পরবর্তী তিন দিন Science পড়বো। কিন্তু ভাই এটিই হলো আমাদের বড় একটা ভূল ধারনা। কারন ধরুন আপনাকে চারমগ পানি দেওয়া হলো তার মধ্যে দুইমগ পচন্ড গরম আর দুইমগ পচন্ড ঠান্ডা পানি। এবার আপনাকে বলা হলো যেভাবেই পারেন এই চার মগ পানি খেয়ে ফেলুন। এখন আপনি যদি মনের করে যে, প্রথমে গরম দুই মগ খাবো তারপর ঠান্ডা দুই মগ খাবো। তাহলে এবার নিজেই ভেবে দেখুন তো আপনার তাহলে কি অবস্থা হবে? কিন্তু এর বদলে আপনি যদি এই চার মগ পানি একটি জগের বেতরে প্রথমে এক মগ ঠান্ডা পানি ডালেন তারপর আবাও এক মগ গরম পানি ডালেন পরে আবারও এক মগ ঠান্ডা পানি ডালেন তারপর আবারও এক মগ গরম পানি ডালেন, আর তারপর যদি আপনি এই পানি টি খেয়ে পেলেন দেখবেন আপনার কিছুই হবে না। তেমনী যদি আপনি একবারে English ই পড়ে যান তাহলে আপনি আয়ত্বেও করতে পারবে না। অতএব তাহলে আপনার এখন কি করা উটিত? আপনি এমন কিছু করতে পারের যে, প্রথম দিন আপনি Math পড়তে পারেন, তার পরের দিন আপনি English পড়তে পারেন অথবা বাংলা পড়তে পারেন। এভাবেই আপনাকে প্রতিটি সাবজেক্ট একবার করে শেষ করতে হবে।

২। তো এভাবেই আপনার বই পড়া শেষ হলে তারপর আপনি প্রত্যেকটি Question Solve করা শুরু করবেন এবং আপনার প্রতিটি সাবজেক্টের জন্য একটি করে নোট খাতা বানাবেন।

আর প্রতিটি সাবজেক্টের নোট খাতায় আলাদা আলাদা করে Question গুলো Solve ও করে নিবেন। এবং Solve করা শেষ হলে আপনাকে যে কাজটি করতে হবে আপনি দেখবে কোন প্রশ্নটি এক থেকে একাদিক বার এসছে এবং তারপর আপনি কোনো প্রশ্নকে একাদিক বার রাখবেন না। আর এখানে মজার বিষয় হলো আপনি ধরুন মোট ১০০ প্রশ্ন পড়ছেন তারপরে দেখা গেলো তার মধ্যে ৩০% Question ছিল Common । তার মানে কিন্তু এখন আপনার মাত্র ৭০% প্রশ্ন পড়তে লাগলো।

৩। পরীক্ষায় কম নাম্বার পাওয়ার সব থেকে বড় সমস্যা হলো চিন্তা।

আর এই চিন্তু দূর করতে আপনি মাঝে মাঝে গানও শুনতে পারেন। আর আপনি যদি আগের দুইটি Step Follow করে থাকেন তাহলে আপনি কখনোই চিন্তায় পড়বেন না। কারন আপনি যখন আপনার নোট খাতাটি খুলবেন তখনই দেখবেন আপনার প্রতিটি প্রশ্ন পড়া হয়ে গেছে। আর আপনার Question গুলো খুব সাজানো গোচানোও রয়েছে। আর এই কারনেই আপনার মাথা থেকে চিন্তু একবার পুরোপুরি ভাবে উধাও হয়ে যাবে। তবে একটা জিনিস সব সময় মাথায় রাখবেন যে, সব কিছু পারছেন বলে আপনাকে বসে থাকলেও চলবে না। বা পরবর্তী দিন গুলিতে পড়া পেলে রাখলেও চলবে না। প্রতিটিন আপনাকে বার বার পড়া জিনিসগুলিকে আবার রিভাস করতে হবে। আর যদি এমনটা প্রেক্টিক্যালি করে ফেলতে পারেন তাহলে ভাই এক্সামে ভালো নাম্বার পাওয়ার হাত থেকে আপনাকে কেউ আটকাতে পারবে না।