এটা আপনাকে ফালতু চিন্তা থেকে মুক্তি দেবে

ফালতু চিন্তা থেকে মুক্তি -blog.durjoybd.comঅনেক সময় আমাদের ব্রেইনে এমন কিছু কথা চলে যা আমরা জানি যে, এখন এটা নিয়ে ভেবে কোন লাভ নেই। তারপরেও সেটা আমরা ভাবতে থাকি। আর এই কারনেই আমরা অন্য কোন কাজে ফোকাস করতে পারিনা, এটা জানার পরেও যে এটা অতটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাই আজ আমি আপনাদের এমন কিছু কথা বলবো যা শোনার পর আপনি ফালতু চিন্তা করে আপনার সময় নষ্ট করা বন্ধ করে দেবেন। তাই একটু মনযোগ দিয়ে অবশ্যই পড়বেন।সবার প্রথমে অনেকবার আমাদের ব্রেইনে এই কারনে চিন্তা বেড়ে যায় যে আমাদের মন অন্য দিকে চলে যায়। আর এটার কারণ হলো যে অন্যের কাছে কিন্তু আমাদের দাম নেই। এটা শুনে আপনার অনেক সিম্পল মনে হবে। কিন্তু যদি একটু ভালোভাবে দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন। যেমন আপনি এমন কোন একটি ক্লাসে আছেন যেখানে আপনি 70% মার্কস আনার কারণে আপনি ক্লাসের টপার।

তাহলে আপনি খুশি হবেন খুশিতে থাকবেন। কিন্তু একই মার্কস নিয়ে যদি অন্য কোন স্কুল বা কলেজে গিয়ে দেখেন যে সেখানে 70% নাম্বারের কারণে আপনি টপ টেন এর মধ্যেও আসছেন না তাহলে তখন আপনি খুশি হতে পারবেন না। কারণ আপনার খুশি নির্ভর করে অন্যরা আপনার থেকে কতটা কম পেয়েছে বা বেশি পেয়েছে তার উপরে। আর এটা স্কুল বা কলেজ থেকে আমাদের ভিতরে আসে যা আগামী জীবনে আমাদের অনেক প্রবলেম এর মাঝে ফেলে দেয়। তাই আমাদেরকে এটা পরিবর্তন করতে হবে। কারণ প্রতিটি মানুষের ভিতরে এমন কিছু থাকে যা অন্য কারোর মাঝে নেই। অর্থাৎ আপনি সবার থেকে আলাদা এটা আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে। আপনার নিজের মধ্যে এমন কিছু কোয়ালিটি আছে যা পৃথিবীতে আর কারো মাঝে নেই। এরপর হলো আপনাকে সবাই বুঝতে পারবে না, সবাই আপনার প্রশংসা করবে না, কিছু লোক এমন পেয়েই যাবেন যারা আপনাকে পছন্দ করবে না।

যেমন পৃথিবীর সবথেকে ভালো মানুষকেও ডিসলাইক করার মতো লোক পেয়ে যাবেন, পৃথিবীর সেরা ব্র্যান্ড অ্যাপল কোম্পানির কথা যদি বলি এটাকেও পছন্দ না করার মতো লোক পেয়ে যাবেন। এর অর্থ কি? প্রতিটি মানুষের ব্রেইন ঠিক তেমন ভাবে চিন্তা করে যেমনটা সে এতদিন দেখেছে শুনেছে ও বুঝেছে। অর্থাৎ ওই মানুষটির কোন ভুল নেই তাই তাকে গালি দেওয়ার কোন দরকার নেই। তার ব্রেইনে থাকা ইনফরমেশনগুলোই এটা তাকে বলছে যে আপনি ভালো না, আপনার আইডিয়া ভালো না, আপনি দেখতে সুন্দর না। অর্থাৎ ভাই আপনাকে পছন্দ করবে না। আপনার আইডিয়া আপনার কথা সবাই বুঝতে পারবে না। আর এটা যদি আপনি ভালভাবে বুঝে যান ও মনে রাখেন তাহলে আপনার জীবনের অর্ধেকের বেশি চিন্তা শেষ হয়ে যাবে।

এরপর হল যখন আমরা ফ্রিডম পেয়ে যাই তখন আমাদের ব্রেইন অন্যরকম ভাবে কাজ করে। আর সেটা কিভাবে হবে? যখন আমাদের ভেতর থেকে ভয় দূর হয়ে যাবে। যেমন টাকার ভয়: আর সেটা কিভাবে হবে? যখন আপনার ভিতরে এমন কোন স্কিল থাকবে যার সাহায্যে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারেন। আর আপনার মধ্যে বিশ্বাস থাকবে যে আপনার সবকিছু চলে গেলেও আপনি আপনার স্ক্রিলের উপরে ডিপেন্ড করে পুনরায় টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তখনই টাকার ভয় আপনার থেকে দূর হবে আর আপনি ফ্রিডম পাবেন।

আর কিভাবে আপনি ফ্রিডম পেতে পারেন? এমন লোকেদের সঙ্গে থেকে যারা সব সময় নেগেটিভ কথা বলে না, যারা সবকিছুতে কমপ্লেন করে না। আপনি এদের সঙ্গে থাকলে আপনার অজান্তেই আপনার মধ্যেও এই গুণটা চলে আসবে। এরপর হলো যার মধ্যে ধৈর্য থাকে না সে জীবনে বড় কিছু করতে পারবে না। আর যে মানুষ যত বেশি কিছু করেছে জীবনে তার মধ্যে ততবেশি ধৈর্য থাকে। আর এদের রাগও অনেক কম হয়। আপনার ধৈর্য যত কম হবে রাগ তত বেশি হবে। আর ঠিক ততটাই কঠিন হবে তখন আপনার জন্য কাজ করা।

সবশেষে বলব যত বেশি আপনি জানবেন ততটা কম চান্স থাকবে আপনার কোন কাজে আটকে যাওয়ার। যেমন আপনি এই লেখাটি পড়ছেন, এখানে অনেক কিছু শিখলেন। এখন আপনার কোন কিছুতে আটকে যাওয়ার চান্স অনেক কমে যাবে। তাই যত আপনি জানবেন তত আপনার ব্রেইন পাওয়ারফুল হবে।