শূন্য থেকে আরো শক্ত হয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর উপায়

sunno theke gure daranor upay-blog.durjoybd
শূন্য থেকে আরো শক্ত হয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর উপায়

যদি আপনার দুজনকে পছন্দ হয় তাহলে সবসময় দ্বিতীয় জনকে বেছে নিন। কারণ যদি প্রথম জন আপনার সত্যিই পছন্দ হত তাহলে আপনি দ্বিতীয় কাউকে দেখতেন না। যদি ভালো কিছু হয় তাহলে সেটাকে সেলিব্রেট করুন। আর যদি অনেক খারাপ কিছু হয় তাহলে সেটাকে ভোলানোর চেষ্টা করুন আর যদি কোন কিছুই না হয় তাহলে কিছু তো এমন করুন যাতে কিছু না কিছু অবশ্যই হয়। কারণ জীবন সবসময় এগিয়ে যাবার জন্য। যদি আপনি সেই দিনগুলোতে একা থেকেছেন, যেদিন আপনাকে বিনা কারণে কেউ ছেড়ে গেছে। তাহলে বিশ্বাস করুন আপনি সব পরিস্থিতি পার করতে পারবেন।
এই পৃথিবীতে এই তিন জনের থেকে ভালো শিক্ষা আপনাকে আর কেউ দিতে পারবে না। সবার প্রথম হলো ভয় এরপর হলো কান্না আর সবশেষে সময়।

  • ভয় আপনাকে শেখায় যে, আমাকে পার করার পর অনেক কিছু পাবে।
  • কান্না আমাদেরকে শেখায় যে, কষ্টের জীবনে কিভাবে বেঁচে থাকতে হয়।
  • আর সময় আপনাকে শেখাবে সত্যিই আপনার আপন কে।

কাউকে জোর করে পাবার থেকে ভালো হলো সে সারা জীবনের জন্য দূরে চলে যাক। কারণ দূরত্ব অনেক ভালো জোর করে পাওয়া ভালোবাসার থেকে। যদি আপনার মনে হয় আপনার মধ্যে কোন ট্যালেন্ট নেই বা আপনার জীবনে কেবল দুঃখের পূর্ণ তাহলে মনে রাখবেন সৃস্টিকর্তা বিনা কারণে একটি পিপড়েও তৈরি করেন নি। তাই আপনার জন্ম টা বৃথা নয় নিজের জীবনের উদ্দেশ্যটাকে খুজুন।

আপনার ভালো ব্যবহার কোথাও না কোথাও কখনো না কখনো আপনার কাজে অবশ্যই আসবে:

যেমন একটা কোম্পানিতে কাজ শেষ হবার পর সবাই বাড়ি ফিরে যায়। কিন্তু একটি লোক কাজে এতো বেশি বিজি ছিল যে, সে বুঝতেই পারেনি ছুটি হয়ে গেছে। সে ভেতরে কাজ করছিল আর যখন সে দেখে বাইরের গেট বন্ধ হয়ে গেছে। আর ভেতরের তাপমাত্রা এতটা কম ছিল যে সে সেখানে বেশিক্ষণ বাঁচতে পারতো না। কিছুক্ষণ পর সিকুরিটি গার্ড টর্চ নিয়ে ভিতরে আসে আর এই লোকটিকে বাইরে বার করে আনে। এরপর গার্ড কে জিজ্ঞেস করে তুমি কি করে জানলে আমি যে ভিতরে আছি? তখন গার্ড বলে স্যার একমাত্র আপনিই আছেন যে রোজ আমাকে গুড মর্নিং বলে আর যাবার সময় গুডনাইট বলে। কিন্তু আজ আমি গুড মর্নিং শুনেছিলাম গুডনাইট শুনিনি তাই আমি আপনাকে খুজতে ভিতরে চলে এসেছি। এই ভাবে আমাদের ভালো কাজগুলো আমাদেরকে সাহায্য করে। তাই সব সময় ভালো কাজ করতে থাকুন।

ধনী হবার লক্ষ্য রাখুন ধনী দেখানো নয়:

আপনি দেখবেন যে ব্যক্তি যত বেশি মহান সেই ব্যক্তি ততবেশি সাধারণ জীবন যাপন করে। কেবল সেই সম্পর্কটা সত্য যা আপনার পিছনে আপনাকে সম্মান দেবে। তাই তাদের মূল্য দিন যারা আপনার তখনও প্রশংসা করে যখন আপনি তার চারপাশে থাকেন না। জীবনে দুটো জিনিস ছেড়ে যাবার জন্যেই হয় একটি হলো নিঃশ্বাস আরেকটি হলো কারোর হাত।

নিঃশ্বাস ছেড়ে গেলে মানুষ কেবল একবার মরে কিন্তু কেউ হাত ছেড়ে চলে গেলে মানুষ বারবার মরে।

যতক্ষণ নিজের উপর না আসবে ততক্ষন অন্যের কষ্ট কেউ বুঝতে পারবে না। আমি কেন আজ তার কথা ভেবে মন খারাপ করব? কারণ সে ততটাই ভালবাসতে পেরেছে যতটা তার যোগ্যতা ছিল। মানুষ যদি ভালোবাসার মধ্যে পড়ে তাহলে আজ না হয় কাল সে কষ্টের মধ্যে অবশ্যই পড়বে। কারণ ভালো আপনি যতই বাসেন না কেনো একটু তো কম থেকেই যায়। আজকাল আমার চোখও আমাকে প্রশ্ন করা শুরু করেছে যে, কি এমন আছে ওই মানুষটির মাঝে? যার কারণে তুমি আমাকে রোজ কান্না করাচ্ছ? আমার মন তো অনেক বড় কিন্তু কি করবো জীবনের লোকও এমনই পেয়েছি যে মনে থাকার যোগ্যই নয়। যতটা নিঃস্বার্থ ভালোবাসা আমি তোমাকে দিয়েছি যদি ততটা ভালোবাসা খোদাকে দিতাম তাহলে হয়ত তিনি খুশি হয়ে যেতেন। এটা সত্য কোন সম্পর্ক ভেঙ্গে যাওয়া ভালো নয় কিন্তু এই ভূল ধারণাটা ভেঙ্গে যাওয়া অনেক দরকার যে, ওই মানুষটা আপনার আপন ছিল না যাকে আপনি আপন মনে করতেন। পৃথিবী আপনাকে যত অবহেলা করুন কোন প্রবলেম নেই। কিন্তু আপনি যাকে নিজের থেকে বেশি ভালোবাসেন সে অবহেলা করলে যেন জীবনটাই বেরিয়ে যায়। ভালোবাসাটা আপনার সত্য কিন্তু সে আপনাকে ধোঁকা দেয় নি। তাহলে এই গল্পটা অসম্পূর্ণ মনে হয়। আমরা যাকে আমাদের সবটা দিয়ে ভালোবাসি সে তার একটা মুহূর্ত দেবার আগে হাজারবার ভাবে।

যে ব্যক্তি সময় থাকতে ঘাম ঝরাবে না সে পরে চোখের জল ঝরাবে।

তাই কাজ করতে থাকুন সফলতা পেতে থাকবেন। পরিস্থিতি মানুষকে শেখায় কারো কথা শোনা ও সহ্য করা তা না হলে প্রতিটি মানুষ নিজের কাছে বাদশা। বড় লক্ষ্য পূর্ণ করতে হলে বড় কিছু করতেই হবে। কারণ যে পেয়েছে সে সমুদ্রর মাঝেই পেয়েছে, অমূল্য মতিকে কেউ সমুদ্রর ধারে পায়না।

জীবনের সম্পর্কে যখনই ভাববেন এই কথাটা সবসময় মনে রাখবেন যে, তুমি যতই ভাবো তোমার সাথে অনেক বড় ভুল হয়ে গেছে এটা তোমার অতীত কে পরিবর্তন করতে পারবে না। আর তুমি যতই ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করো সেটা কখনোই তোমার ভবিষ্যৎ কে পরিবর্তন করতে পারবে না। তাই চিন্তা করা বন্ধ করে কাজ করুন। আমরা যতই আমাদের ফিলিংসটা লুকানোর চেষ্টা করি না কেন আমাদের চোখ সবকিছু বলে দেয়। কেবল এটা কেউ পড়ার মতো থাকতে হবে।

একটি কথা আমি জীবন থেকে শিখেছি যে, আপনি কারোর জন্য অনেক স্পেশাল হতে পারেন কিন্তু সব সময় কার জন্য নয়। রোজ সকালে ঘুম ভাঙার পর আপনার কাছে দুটো অপশন থাকে হয় আপনি আবার ঘুমিয়ে পড়ুন অথবা উঠে আপনার স্বপ্নের জন্যে এমন কিছু কাজ করুন যা আর কেউ আপনার জন্য পড়তে পারবে না।

যেদিন আপনি নিজেই নিজেকে ছোট বাবা বন্ধ করবেন সেদিন আপনি নিজের মধ্যে একটি পরিবর্তন ফিল করবেন। যা বলবে আপনিও সেই সব কিছু করতে অর্জন করতে পারবেন যায পৃথিবীতে হয়তো সবাই পারবে না। আর আমার মনে হয় নিজের মাটির ঘরে রাজত্ব করা অন্যের প্রাসাদে গোলামী করার থেকে অনেক ভালো। একটি বার চেষ্টাও করেনি সে আমাকে আটকানোর হয়তো সে আমার চলে যাওয়ারই অপেক্ষা করছিল।

মাঝে মাঝে মনে হয় আমার ঘরের আয়না টাই হয়তো আমার সব থেকে বেশি আপন কারণ আমি যখন কান্না করি তখন সেও আমার সঙ্গে কান্না করে। এই পৃথিবীতে যাকে সবার থেকে আলাদা ভেবেছিলাম আফসোস সেও সব শেষ বার মতোই ব্যবহার করেছে।

একা থাকা অনেক ভালো তাদের সাথে থাকার থেকে যাদের কাছে আপনার কোন মূল্য নেই। যদি আপনি একটি ভালো মানুষ কিন্তু লোক আপনাকে খারাপ বলে তাহলে কোন প্রবলেম নেই কারণ এটা অনেক ভালো এর থেকে যে আপনি খারাপ মানুষ আর লোক আপনাকে ভালো বলে।

অনেক সাবধানে কথা বলুন কারন আপনার অজান্তে সামনের জনের মনে অনেক বড় আঘাত লাগতে পারে। কারো সাথে আপনি সারাজীবন ভালো করুন, আর কোনো কারণে ভুল করে একবার ভালো না করতে পারলে তাহলে সমস্ত ভালো কিছুর মূল্য শেষ হয়ে যাবে। কাউকে ভুল বোঝার আগে একবার তার পরিস্থিতি টা জানার অবশ্যই চেষ্টা করবেন। অন্যের জন্য সেটাই চান সেটাই দিন যা আপনি নিজের জন্য পছন্দ করবেন।

কিছু লোকের সঙ্গে রক্তের সম্পর্ক থাকে না কিন্তু তারপরেও তাদেরকে অনেক আপন মনে হয়। কারণ সম্পর্ক রক্ততে নয় ভালোবাসায় তৈরি হয়। একদিন কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করে কোন আপনজন আপনাকে ছেড়ে চলে গেলে কি করবেন? আমি বলি আপনজন কখনো ছেড়ে যায়না আর যে ছেড়ে চলে যাবে সে আমার কখনো আপন জন ছিল না।

সবশেষ আমার পক্ষ থেকে যেদিন আপনার মন ভেঙে যাবে সেদিন থেকে আপনার ব্রেইন কাজ করা শুরু করবে। তো বন্ধুরা কেমন লাগলো? ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করুন আপনার বন্ধুদের সঙ্গে।