কেউ আপনাকে গুরুত্ব না দিলে কি করবেন

kew-gurutto-na-dile-ki-korben-যদি কেউ তোমাকে ভালো না বলে, তাহলে মন খারাপ করো না কারণ সবার কাছে এক জীবনে ভালো হওয়া যায় না। আপনার লাইফে এমনও কেউ হয়তো আছে যে আপনাকে পাত্তাই দেয় না। কোন কাজে আপনার গুরুত্ব বোঝার চেষ্টাও করতে চায় না। এ ধরনের সমস্যায় প্রতিটি মানুষই সম্মুখিন হয়েছেন একাধিকবার। আর আপনাকে তোয়াক্কা না করার এই সমস্যার সম্মুখীন আপনি আপনার বাড়িতে অফিসে স্কুল কলেজ বা ফ্রেন্ড সার্কেলেও হতে পারেন। আর এই পরিস্থিতিতে আপনার নিজেকে অনেক ছোট মনে হতে থাকবে। আপনার যেন কোনো মূল্যই নেই। আজ আমরা এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো যে, এমন পরিস্থিতিতে আমাদের কি করা উচিত।

যারা আপনার এই মূল্যবোধ বুঝেনা, তাদেরকে ছেড়ে দিন। যেখানে আপনার মতামতের কোনো দামই দেই সেখানে আপনি আপনার অমূল্য মতামত কেন দিবেন? কেন অযথা তাদের সঙ্গে আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করবেন? যেখানে আপনাকে কেউ গুরুত্বই দিচ্ছে না, সেখানে গুরুত্ব পাওয়ার তো কোনো ধরকারই তো নেই। বরং আপনি আপনার নিজের মতামত নিজের সিদ্ধান্তের উপর এমন কোন কাজ করুন যাতে বাকি সবাই আপনার ঐ কাজ নিয়ে ভাবতে শুরু করে। আর এমনটা বাড়িতে হলেতো খুবই বিপদ! কারণ বাড়ির লোক আপনাকে গুরুত্ব না দিলে আপনার নিজেকে বিষন একাও মনে হতে পারে। তাই সে ক্ষেত্রে আত্বসম্মান বা অহংকারী না এনে নিজের সমস্যাগুলি নিজের বক্তব্য অবশ্যই তাদেরকে সরাসরি একবার বলার চেষ্টা করুন। তারা অবশ্যই আপনার কথা বুঝতে পারবে। কারণ নিজের পরিবার এবং আপনজন যেমনই ব্যবহার করুক না কেন তারা কিন্তু নিজেরই হয়।

তাদের ক্ষতি হয়ে গেলে তেমন যা আপনারও ক্ষতি আবার আপনার কোনো ক্ষতি হয়ে গেলেও তা কিন্তু তাদেরই ক্ষতি। কিন্তু অফিসে কিংবা ফ্রেন্ডসার্কে যদি এই সমস্যা সৃষ্টি হয় তাহলে সেখানে নিজের মতামত কখনই দিবেন না। যারা আপনার মূল্য বুঝেনা তাদেরকে আপনার গুরুত্ব বুঝানোর কোনো ধরকারই নেই।

কে বলেছে যে, তাদেরকে আপনি গুরুত্ব দিলে তারাই আপানাকে বেশি গুরুত্ব দিবে? অর্থাৎ আপনার মতামত সেখানেই দিন, যেখানে কেউ আপনাকে গুরুত্ব দেয়, যেখানে আপনার মতামত কেউ শুনতে চায়। আর আমাদের প্রত্যেকটা মানুষেরই এক একটা রকমের মতামত রয়েছে। সে ক্ষেত্রে আপনি সব সময় চেষ্টা করুন নিজের মতামত নিজের লাইফে কাজে লাগাতে। আর এভাবেই আপনিও ঠিক একদিন নিজের গন্তব্যে পৌছে যাবেন। আর তারপর যারা আপনার মতামতকে গুরুত্ব দিতো না তারাই আপনার কাছে আসবে আপনার মতামত জানতে। অর্থাৎ গুরুত্ব পাওয়া কিংবা না পাওয়া শুধু মাত্র সময়ের অপেক্ষা।

আর সবাই জানে যে, সময় পরিবর্তনশীল। তাই দিন কিন্তু আপনারাও আসবে। আপনার আসেপাশে ঘরে বাহিরে এমনও কিছু মানুষ রয়েছে, যারা আপনাকে অপদস্ত করতে চায়। যারা আপনাদের সকলের কাছে ছোট করে তুলতে চায়। বিষয়টা খুবই জটিল। কারণ এমন একটা পরিস্থিতিতে ঐ মানুষগুলি আপনাকে নিগ্লেট করতে থাকবে যাতে আপনার মনে অশান্তি সৃষ্টি হয়। এর ফলে না আপনি তাদের সঙ্গে মিশতে পারবেন আর না তাদেরকে ছাড়তে পারবেন। আর এই পরিস্থিতিতে আপনি সবথেকে ভালো যেটা করতে পারেন, সেটা হলো আপনিও তাদেরকে গুরুত্ব দিবেন না। কারণ তারা আপনাকে গুরুত্ব না দিলে বাস্তবে কিন্তু আপনার কোন কিছুই যাবে বা আসবে না।

তাই তাদের কাছেই আপনার গুরুত্ব পেতে হবে এমনটা কখনোই ভাববেন না। অর্থাৎ সেই সব বিষয়ে আপনার ইনবল্ব হওয়ার কোন দরকারই নেই। তাদেরকে পুরোপুরি এড়িয়ে চলুন এবং চুপ থাকতে শিখুন। আর এক্ষেত্রে মাদার তেরেসাও বলেছেন “চুপ থাকতে শিখুন দেখবেন যে একদিন আপনার সঙ্গে খারাপ করেছে সেও একদিন আপনার পায়ে এসে পড়বে”।

আর ভাই এই পৃথিবীতে কিন্তু সময়ের মূল্য সবাই বুঝে না। আপনার মতামত যুক্তি এবং প্রমান যখন কেউ মানতে চাইছে না, তখন আপনাকে নিরবে সেই স্থান থেকে সরে আসা ধরকার। কারণ আপনি যতবার চেষ্টা করবেন নিজের মতামতকে গুরুত্ব পাওয়ানোর ততই কিন্তু পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়ে উঠতে থাকবে। তাই এই সমস্ত পরিস্থিতি গুলিকে এড়িয়ে চলাই ভালো। কারণ সেই সমস্ত মানুষগুলি আপনার কাছে সব সময় বাধা হয়ে দাড়াবে। কোনো কাজ সুষ্ঠমত হতেই দিবে না। তারা আপনার মাথায় এক অস্বস্তিকর ভাবনা ডুকিয়ে দিবে। আপনাকে নিরুউৎসাহিত করবে। আর এর থেকে মুক্তি পেতে আপনার বিবেক, আপনার মূল্যবোধে কাউকে প্রবেশ করতে দিবেন না। দেখবেন আপনি একদিন অনেক শান্তি পাবেন এবং আপনার প্রতিটা কাজেই আপনি সফলতা পাবেন। অর্থাৎ সহজ কথা হলো যে আপনাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না তাকে আজ থেকে এড়িয়ে চলতে শিখুন। আর এভাবেই একটা সময় পর আপনি অবশ্যই সঠিক জায়গায় গুরুত্ব পাবেন। আর এটাও মাথায় রাখুন যে, সবারই লাইফে সঠিক সময় আসে, লাইফে প্রত্যেকেই তার প্রাপ্য গুরুত্ব পায়। আর তার জন্য ধরকার শুধু একটু খানি ধৈর্য আর একটুখানি অপেক্ষা।