এই ৮টি কথা আজ থেকেই গোপন রাখতে শিখুন

8 ti kothaআমরা কোনো কাজ করার আগেতো অনেক চিন্তা ভাবনা করি। তার রেজাল্ট কি হতে পারে? কাজটি করতে কতটা সময় লাগবে? ইত্যাদি।
কিন্তু কাউকে কোনো কথা বলার আগে তেমন কোনো চিন্তাভাবনা না করেই বলে পেলি। যার কারণে অনেক সময় বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আচার্য চাণক্য পৃথিবীর ইতিহাসে সবথেকে বুদ্ধিমান ব্যক্তির তালিকায়ও যার নাম আছে। চাণক্য তার নীতির মাধ্যমে এমন কিছু বিষয় আমাদের সঙ্গে তুলনা দরেছেন যে বিষয়গুলো কখনো কাউকে বলা উচিত নয়। অর্থাৎ আমাদেরকে এই কথাগুলি নিজেদের মধ্যে গোপন রাখতে শিখতে হবে। আর আজকে আমরা সেই সমস্ত নীতি গুলি নিয়ে আলোচনা করবো যা অন্য কাউকে কখনোই বলা ঠিক নয়। আর এই গুলির মধ্যে শেষের নীতিগুলি সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
চলুন আজকের আলোচনা শুরু করা যাক:

১। সবার প্রথমেই আসে আপনার আয়।
কোন মানুষের তার সঠিক আয়ের কথা কাউকে বলা ঠিক নয়। ধরুন আপনি ভালো টাকায় করেন এবং আপনার কাছে কত টাকা আছে তা আপনি কাউকে বললে তারপর যদি সেই ব্যক্তি কোনো কারনে আপনার কাছে টাকা ধার চায় আর আপনি যদি তাকে টাকা দিতে অস্বীকার করেন তাহলে তার সাথে আপনার সম্পর্ক খারাপ হয়ে যাবে। এছাড়াও বেশি আয় করলে মানুষ আপনাকে মনে মনে হিংসা করতে শুরু করবে। অন্যদের সামনে আপনার সমালোচনা করব এবং যদি আপনার ইনকাম কম হয় আর সেটা আপনি কাউকে বলেন তখন মানুষ আপনাকে সম্মান করতে চাইবেনা। তাই আপনার কত টাকা আছে বা আপনি কত বেশি বা কম ইনকাম করেন তা গোপন রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ।

২। সাংসারিক সমস্যা
আপনার স্বামী-স্ত্রী গার্লফ্রেন্ড-বয়ফ্রেন্ড অর্থাৎ ভালোবাসার মানুষটির সাথে ঝগড়া হলে রাগের মাথায় কখনো অন্য কোনো তৃতীয় ব্যক্তিকে একে অপরের সম্পর্কে খারাপ কথা বা আপনাদের ঝামেলার কথা বলতে যাবেন না। তাতে আপনাদের বিবাদ মিটিয়ে গেলও যার কাছে আপনি কথাটি বলেছিলেন তার কাছে আপনার প্রিয় মানুষটির অসম্মান হতে পারে।

৩। আপনার ব্যক্তিগত সমস্যা
ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়ে কখনোই লোক সমাজে আলোচনা করা ঠিক নয়। মাথায় রাখবেন বেশিরভাগ মানুষ আপনার সমস্যা দেখে ভেতরে ভেতরে মজাই পাবে কষ্ট নয়। আর অনেকে তো আপনারই সমস্যা সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিজের স্বার্থ সিদ্ধি করতে অগ্রসর হবে।

৪। আর্থিক সমস্যা
আপনি আর্থিক সমস্যার মধ্যে থাকলে কখনোই তা নিয়ে লোক সমাজে আলোচনা করতে যাবেন না। বরং নিজেই সেই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার উপায় বেরে করুন। কারন লোকসমাজে সবাই আপনাকে সহানুভূতি জানালেও একজন মানুষও কিন্তু আপনাকে টাকা দিয়ে সাহায্য করতে এগিয়ে আসবে না। যার ফলে আলটিমেটলি আপনি অসম্মানিত অপমানিত হবেনে।

৫। নিজস্ব অপমান।
আপনি যদি কারো কাছে কখনো অপমানিত হন তবে সেই কথা কখনোই অন্য কাউকে বলতে যাবেন না। কারন যাকে আপনি এই কথাটি বলছেন পরবর্তীতে তার সঙ্গে আপনার কোনো ঝামেলা হলে ঐ একই অজুহাতে সেও কিন্তু খুব সহজে আপনাকে অপমান করতে পারে।

৬। about your business বা ব্যবসা সংক্রান্ত কথা।
আপনার ব্যবসার লাভ লকসানোর কথা কখনোই কারো সঙ্গে আলোচনা করবে না। মাথায় রাখবেন আপনার উন্নতি আপনি আপনার ফ্যামিলি ছাড়া আর কেউ কিন্তু চায় না। তাই ব্যবসার কথা অন্য কোনো ব্যক্তির সঙ্গে শেয়ার করে নিজের সফলতার পথে বাধা সৃষ্টি করতে যাবেন না।

৭। আপনার দুর্বলতা
জীবনে চলার পথে প্রত্যেক মানুষের ধারায় অনেক ভূল কর্ম ঘটেই থাকে। মানুষ ভূল করে এবং সেগুলো থেকে শিখেই লাইফে এগিয়ে চলে। কিন্তু এই ভূল করে করে আসা কাগুলির পরিস্থিতি গুলি কখনো অন্য কারও সঙ্গে শেয়ার করা ঠিক নয়। এছাড়াও আপনাকে অন্য কারো সামনে দুর্বল করে দেয় এরকম কোন কথাও কখনোই কাউকে বলা ঠিক নয়। কারণ সে দুর্বল স্থানে আঘাত করার মত মানুষের অভাব হবে না। আবার দরুন যদি আপনার কোন মানুষের সঙ্গে মতবিরোধ থাকে বা আপনি যদি কোন মানুষকে পছন্দ করেন তবে তা নিয়েও কারো সঙ্গে আলোচনা করতে যাবেন না। নইলে যাদের কাছে কি আপনি আলোচনা করবেন পরে তাদের সাথে আপনার মত বিরুধ হলে তারাও আপনার সেই অপছন্দের ব্যক্তির সাথে মিলে গিয়ে আপনাকে আপনার বা আপনার কোনো বড় ক্ষতিও করতে পারে।

৮। আপনার জীবনের লক্ষ্য
সবথেকে ইম্পরট্যান্ট যে কথাটি মোটেও আপনার কাউকে বলা উচিত নয়, সেটি হলো আপনার লাইফে পরবর্তী বড় কোনো পরিকল্পনা বা আপনার জীবনের লক্ষ্য। আপনি যাদের কাছে এটি শেয়ার করবেন, তাদের মধ্যে ম্যাক্সিমামই আপনাকে Demotivate করবে। যে আপনার দ্বারা সেই কাজটি হবে না। অনেকে তো হাসাহাসি করে আপনার খিল্লি উড়াবে, আর এর ফলে আপনারই মনবল দুর্বল হয়ে যেতে পারে। অনেকে আবার আপনার লক্ষ্যের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে, তাই এই কথাটি ভূলেও কাউকে শেয়ার করতে যাবেন না। এছাড়াও কথা গোপন করলে একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব ফুটে উঠে, কিভাবে একজন ব্যক্তিত্ববান মানুষ হতে হয় তা জানতে এখানে ক্লিক করুন।
অতএব এগুলিই ছিল এমন একটি বিষয়, যেগুলি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করা উচিত নয়।
আপনার সময় অনেক অনেক ভালো কাটুক।
ধন্যবাদ