5 ATTITUDE যা অন্যদের আপনার কাছে নিয়ে আসবে

5 ATTITUDE that will bring others to you
5 ATTITUDE যা অন্যদের আপনার কাছে নিয়ে আসবে

১। মেন্টালি স্ট্রং, পসিটিভ থট, সাকসেস
আপনি তখনই পাবেন, যখন আপনার অ্যাটিটিউড এমন হবে, যে আপনার মত আর কেউ থাকবে না। যখন আপনি অন্যদের কাছে নিজেকে প্রমাণ করা বন্ধ করে আপনি এমন কিছু করা শুরু করবেন, যা সবার সামনে আপনাকে অটোমেটিক নিয়ে আসবে। তখন লোকে আপনাকে খুঁজবে।
অ্যাটিটিউড, সিংহ তার অ্যাটিটিউড এর জন্য জঙ্গলে রাজত্ব করে, বাজপাখি তার অ্যাটিটিউড এর জন্যই সবার উপরে উঠতে পারে। কারণ এরা জানে যদি আমরা এভারেজের একসঙ্গে থাকি, তাহলে আমরাও এভারেজ হয়ে যাব। বাজপাখি কে কখনোই আপনি অন্য পাখিদের সঙ্গে উঠে দেখবেন না। সে একাই ওরে। আর যখন এর সামনে আসে তখন অন্য পাখিরা দূরে সরে যায়। তাই আপনার অ্যাটিটিউড এর মধ্যে সবার প্রথমে যা থাকতে হবে, সেটা হল গ্রেটনেস।
২। গ্রেটনেস অর্জন করুন
একবার একটি পাখিকে তার মালিক সবসময় খাঁচাতে বন্ধ করে রাখত, সে কখনোই বাইরে ওড়েনি, সে ওই খাঁচাতে জন্ম নিয়েছে, ওখানে বড় হয়েছে, আর হয়তো ওখানে এসে একদিন মারাও যেত। কিন্তু একদিন ঐ পাখিটির মালিক খাঁচা বন্ধ করতে ভুলে যায়! কিন্তু তার পরেও পাখিটি অনেকক্ষণ ধরে খাঁচার ভিতর ছিল! কারণ সে জানতো না যে এর বাইরেও একটা পৃথিবী আছে। আর কিছুক্ষণ পর যখন সে বাইরে বেরিয়ে আসে আর হালকা করে ওর আর চেষ্টা করে প্রথমে তো সে পড়ে যায়, পূণরায় যখন উড়ে তখন একটু জোরে হাওয়া আসে। আর সে দূরে চলে যায়। প্রথমে সে তো বুঝতেই পারেনা যে আমি কোথায় চলে এসেছি। সেভাবে যে আমার মালিক, যে আমাকে এত ভালবাসে, সে আমার সম্পর্কে কি ভাববে? কিন্তু সে তো এটা জানত না যে তার মালিকই কি তার আসল শত্রু? সেই তাকে সারাজীবন ঐখানে বন্ধ করে রেখেছে। পাখিটি কিছুক্ষণ উড়ার পর ভুলেই যায় সে কোনদিকে যাবে! এরপর সে ক্লান্ত হয়ে একটি গাছের উপরে বসে পড়ে। আর কান্না শুরু করে ওই গাছে অনেক গুলো পাখির বাসা ছিল। সন্ধের সময় যখন বাকি পাখি গুলো তাদের বাসায় ফিরে আসে তখন তখন দেখে যে একটি নতুন পাখি সেখানে বসে কান্না করছে। ওই পাখিগুলো জিজ্ঞেস করে তুমি কে? তুমি কোথা থেকে এসেছো? তুমি কান্না কেন করছো? তখন সে তার সব কথা বলে। এইসব কথা শুনে বাকি পাখিগুলো অনেক হাসা শুরু করে। তারপর বাকি গুলো বলে পাগল তুমি কান্না কেন করছ? তুমি তো আজ স্বাধীন হয়ে গেছো, ঐ খাঁচা যা তোমার আসল জীবন কখনই দেখতে দিত না। তুমি আজ থেকে আমাদের সাথে উড়বে, আমাদের সঙ্গে থাকবে, আমরা সবাই অনেক খুশিতে থাকি। সেদিনের পর থেকে ওই পাখিটি সবার থেকে অনেক দূরে উঠতে পারে, তাই আপনিও যেখানে আছেন দেখুন তার বাইরে কি কোন পৃথিবী আছে? আজ যা আপনার কাছে আছে তার থেকে বেশি কিছু কি আপনি অর্জন করতে পারেন না? তাই সবসময় গ্রেটনেস অর্জন করুন।
৩। অন্যদের ইন্টার টেন করুন।
আপনি কি জানেন যত বড় বড় অভিনেতা আছে এরা আমাদের সবসময় এন্টারটেইন করে? নিজের অভিনয় দিয়ে আমাদেরকে হাসায়, আমাদেরকে কান্না করায়, আমাদের ভিতরে এনার্জি বাড়িয়ে দেয়। যার কারণে আমরা অনেক বেশি এদের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে যাই। আর এরা যদি কখনো পৃথিবী ছেড়ে চলে যায় আমাদের অনেক কষ্ট হয়। আপনি না এদের পার্সোনালি চেনেন না কখনো দেখেছেন। তার পরেও আপনি তার সঙ্গে কত বেশি Attached হয়ে গেছেন। একি ভাবে নিজেকে এমন ভাবে তৈরি করুন, যাতে পর্দা বন্ধ হয়ে যাবার পরেও লোক আপনাকে না ভুলে।
৪। চ্যালেঞ্জিং
সহজ কাজগুলো তো সবাই করে নেয়, স্পেশাল তো সেই, যে চ্যালেঞ্জের কোন কাজ করে দেখায়। যেমন শ্রীরাম তার স্ত্রীর জন্য এমন একজনের সাথে লড়াই করার জন্য রাজি হয়ে যায় যে কালকেও নিজের বশে রেখেছিল। কিন্তু পরিণতি কী হয় রাম জিতে যায়। আর আজ সবাই শ্রীরাম কে পুজো করে। তাই চ্যালেঞ্জ নেওয়া অনেক দরকার। মনে রাখবেন পৃথিবীর ইতিহাসে কেবল তারই নাম লেখা হয়, যে চ্যালেঞ্জ নিয়েছে।
৫। কেয়ারিং হওয়া
অনেক দরকার এটা। নিজের জন্য, ও আপন জনের জন্য, কেয়ারিং মানুষ হওয়া খুব দরকার। যেমন আপনাকে কেউ কষ্ট দিচ্ছে, তাহলে আপনি তাকে নিজের থেকে দূর করে দেবেন। এটা হল নিজের কেয়ার। আর আর আপনার আপনজন কোন সমস্যায় আছে, বা সে আপনার কাছে কোন সাহায্য চাইছে বা না চাইলেও আপনি তাকে হেল্প করছেন, এটা হল আপনজনের কেয়ার। এটাই দেখায় যে কে কার খারাপ সময়ের সাথে থাকে।
তাই কারোর খারাপ সময় চললে তাকে নিয়ে মজা করবেন না। বরং সাহায্য করুন।