আসুন জেনে নেই কম বয়সে বিয়ে করলে যে ৬ টি সুফল রয়েছে:
১। যেনা ব্যভিচার থেকে ফিরে থাকা যায়। যুবক বয়সে আল্লাহ পাক এর খুব প্রিয় হওয়া যায় এবং ইবাদতের স্বাদ পাওয়া যায়। আজেবাজে চিন্তা থাকে না।
২। আপনি যদি বয়স ৩০ পার করে বিয়ে করেন, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই আপনার বয়সের কারণে আপনার মধ্যে যে গাম্ভীর্য চলে আসবে তার জন্য সম্পর্ক খুব বেশি ঘনিষ্ঠ ও মধুর হবে না। বরং ব্যাপারটি তখন এমন হবে যে, বিয়ে করার কথা ছিল তাই করেছি। এ কারণেই আবেগ থাকতে আগে থেকেই বিয়ে করা উত্তম।
৩। বেশি বয়সে বিয়ে করলে স্বামী-স্ত্রী নিজেদের জন্য খুব বেশি সময় পান না, বরং বছর ঘুরতেই সন্তানের দায়িত্ব এসে কাঁদে পড়ে। আর একবার সন্তান হয়ে গেলে দুজনে একান্ত কাটানোর মত সময় হয়ে ওঠে না। তাই অল্প বয়সে বিয়ে করলে সঙ্গীর সাথে একান্ত কাটানোর মত অনেকটা সময় পাওয়া যায়। যার ফলে সম্পর্ক ভালো ও মধুর থাকে।
৪। অল্প বয়সে বিয়ে করলে স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলে জীবনের সবটুকু ভাগাভাগি করে নেয়া যায় এবং প্রত্যেকের মানসিক ও কম অনুভব হয়।
৫। মানুষের গড় আয়ু কিন্তু কমছে। আর আপনি দেরিতে বিয়ে করলে সন্তান মানুষ করার বিষয়টাও পিছিয়ে যাবে এবং আপনার মানসিকতাও কিন্তু দিন দিন নষ্ট হতে থাকবে। তাই একটু কম বয়সে বিয়ে করলে সন্তানের জন্য খুব ভালো পিতার উদাহরণ হতে পারবেন।
৬। বিভিন্ন কারণে অনেকেই সঠিক সময়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। তাই এখন ডিভোর্সের সংখ্যাও অনেক বেড়ে গেছে। আর অল্প বয়সে বিয়ে করে যদি অল্পতেই কোনো কারনে ভেঙ্গে যায়, তাহলে দ্বিতীয়বার আবার গুছিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়। কিন্তু দেরিতে বিয়ে করলে সেটা সম্ভব হয়ে ওঠেনা। মোটকথা কম বয়সে বিয়ে করা অতি উত্তম। এখন ভাবতে পারেন সরকারের আইন ১৮ বছরের আগে কোন মেয়ের বিয়ে দেওয়া যাবে না। শুনেন আল্লাহ তাঁর রসূল সাল্লাল্লাহু ইসলামের হুকুম লংঘন করে কারো হুকুম মানা যাবে না।
এই লেখা পড়ে আবার তোলপাড় শুরু করবেন না যে, শরীয়ত বলছে অল্প বয়সে বিয়ে করতে বা বসতে বরং দিন বুঝতে হবে। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম ইরশাদ করেন “হে যুবসম্প্রদায় তোমাদের মধ্যে যে বিবাহের সামর্থ্য রাখে সে যেন বিয়ে করে নেয়। কেননা তার চক্ষুকে আয়ত্বে রাখা যায়, এবং লজ্জাস্থানকে হেফাজত রাখে”। বুখারী ও মুসলিম শরীফ। রসুল উল্লাহ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম ইরশাদ করেন: তাওরাত কিতাবে লেখা আছে: “যার মেয়ে ১২ বছর বয়স হয়েছে আর সে তার বিবাহ দেয়নি, ফলে সেই মেয়ে যেকোনো ধরনের জেনায় লিপ্ত হলে তার গুনাহ তার পিতার গাড়ে উঠবে”। <বাইহাকী শরীফ> রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ওলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন যে, “যখন বন্ধা বিবাহ করলো নিশ্চই সে দিনের অর্ধেক পূরণ করল এবং বাকি অর্ধেক সম্পর্কে আল্লাহকে ভয় করবে”।<মেশকাত শরীফ> এই হাদিস দ্বারা বুঝা যায় বিয়ে করতে বা বিয়ে দিতে এটা আগেভাগেই সমাধান করতে হবে। চিন্তা করি আমরা নিজের পায়ে না দাঁড়িয়ে বিয়ে করা ঠিক হবে না। রিজিকের মালিক আল্লাহ তা’আলা। এই চিন্তা করা যাবে না যে, চাকরি আমাকে খাওয়াবে, ব্যবসা আমাকে খাওয়াবে, প্রতিষ্ঠান আমাকে খাওয়াবে, অমুকে খাওয়াবে-তমুকে খাওয়াবে।সাধারণত একটু আয়ের উৎসহ থাকলেই বিয়ে করে নিবেন। রিজিকের মালিক আল্লাহ তাআলা, রিজিক তিনিই ব্যবস্থা করে দিবেন।
আল্লাহ তা’লা আমাদের সকল রকম গুনা থেকে বিশেষ করে যেনা থেকে বাঁচার তৌফিক দান করুন, আমিন। “আসসালামুয়ালাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতু“